নিজস্ব প্রতিবেদক: | আপডেট: March 2, 2021
ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে এক তরুনীকে কাজ দেয়ার কথা বলে বরিশালে ডেকে এনে আটকে রেখে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ৪ মাস ১৯ দিন আটকে রাখার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারী তাকে পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই তরুনীর বাবার দায়ের করা মামলায় সোমবার (১ মার্চ) আরিফুল ইসলাম সুমন, তার স্ত্রী হাবিবা আক্তার সাথী এবং তাদের বন্ধু মো. আরিফকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেলের উপ-পরিদর্শক তানজিল আহম্মেদ জানান, ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আসামীদের মঙ্গলবার (২ মার্চ) কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
তানজিল আহম্মেদ জানান, ভূক্তভোগী ওই তরুনী টাঙ্গাইলের কালিহাতি এলাকার বাসিন্দা। নিন্মবিত্ত পরিবারের সন্তান ওই তরুনী ঢাকায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। গত প্রায় ৮ মাস আগে তার সাথে ফেসবুকে বরিশাল নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের আরিফুল ইসলাম সুমনের পরিচয় হয়। সুমন ওই তরুনীকে বরিশালে একটি ভালো কাজ পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়।
এমনকি সে চাইলে সুমনের পরিবারের সঙ্গে থেকেও কাজ করতে পারবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। এমন আশ্বাসে ওই তরুনী বরিশাল আসলে তাকে কাজ না দিয়ে সুমন ও তার স্ত্রী নিজ বাসায় আটকে রাখেন। এক পর্যায়ে তাদের বাসায় আরিফুলের বন্ধু আরিফ ওই তরুনীকে যৌন হয়রানী করে। ৪ মাস ১৯ দিন আটকে থাকার পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারী আরিফুলের বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান জানান, যৌন নিপীড়নের শিকার ওই তরুনীর বাবা বাদী হয়ে মানবপাচার ও প্রতিরোধ দমন আইনে ৩জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করেছেন। তরুনীকে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।